পুদিনা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুদিনা পাতার ব্যবহার

  

পুদিনা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। পুদিনা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুদিনা পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। পুদিনা পাতা মানুষের শরীরের জন্য খুব উপকারী। 



পুদিনা পাতার চা বেশ জনপ্রিয় এছাড়াও পুদিনা পাতার শরবত খাওয়া হয়। পুদিনা পাতার শরবত শরীরকে  ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাশি অরুচি ও পাকস্থলীর প্রদাহে পুদিনা পাতার উপকারী অনেক।

 সূচিপত্রঃ পুদিনা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ব্যবহার 


পুদিনা পাতার উপকারিতা

  • পুদিনা পাতায় উচ্চমাত্রার স্যালিসাইলিক এসিড থাকে যা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
  • ত্বক পরিষ্কার করতেও পুদিনা পাতা  বেশ উপকারী।
  • মৃতকোষ দূর করতে এবং হাত পায়ের রগ টেনে ধরা অংশগুলো স্বাভাবিক করতে পুদিনা পাতা উপকারিতা অনেক।
  •  মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পুদিনা পাতার সাহায্য করে।
  • দাঁত ও  মাড়ির সুরক্ষায় পুদিনা পাতার গুরুত্ব অনেক।
  • পুদিনা পাতা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ত্বকচর্চা চুল চর্চায় ব্যবহার করা হয়।
  • পুদিনা পাতা রান্নাই  হার্ব  হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
  • পুদিনা পাতা ত্বক চুল ও শরীর - তিনটির জন্যই খুব উপকারী।
  • পুদিনা পাতা ব্রণের ওষুধ হিসেবে খুব পরিচিত।
  • তৈলাক্তক ত্বকের জন্য পুদিনা পাতা খুব উপকারি।
  • পুদিনা পাতা নিঃশ্বাসকে সতেজ করতে সাহায্য করে।
  • গরমে মাথা ব্যথা হলে কয়েকটা পুদিনা পাতা পানিতে ফুটিয়ে বাষ্প টেনে নিন মাথা ব্যাথা কমে যাবে।
  • পুদিনা পাতার পেস্ট ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেকটা বেড়ে যায়।
  • কিছু গবেষণায় দেখা গেছে পুদিনা পাতা খেলে মানুষ কম ক্ষুধার্ত বোধ করে ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • পুদিনা পাতার গ্যাস পেটে ব্যথা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়ার মত সমস্যার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমাতে পারে।

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য পুদিনা পাতার ব্যবহার

পুদিনা পাতা স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ভালো তেমনি ত্বকের উজ্জ্বলতার জন্য অত্যন্ত উপকারী। ব্রণ ব্ল্যাকহেডস ত্বকের শুষ্কতা মত সমস্যা সমাধানে পুদিনা বা মিন্ট  খুবই কার্যকর। পুদিনা পাতা ত্বককে সুস্থ রাখে। এটি একটি চমৎকার ক্লিনজার ও টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

 দৈনন্দিন রূপচর্চায় পুদিনা পাতার ফেসপ্যাক ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। পুদিনাপাতার ফেসপ্যাক যেভাবে তৈরি  করবেনঃ

  • শসা পুদিনা পাতা এবং মধু শশা, পুদিনা পাতা এবং মধু শশা কয়েকটি পুদিনা পাতা আধা টেবিল চামচ মধু একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিই। সব একেবারে মিশ্রণ পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ৩-৪  দিন এই ফেস প্যাক লাগালে মুখ ফর্সা হয়ে যাবে। 
  • দুই টেবিল চামচ পুদিনা ধ্যাতানো কলা একসঙ্গে পিষে নেই একেবারে মিশ্রণ পেস্ট তৈরি করুন এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে আধা ঘন্টা রাখুন তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই ফেস লাগালে আপনার ত্বক হবে মসৃণ ও সুন্দর।
  • কয়েকটা পুদিনা পাতার সঙ্গে এক টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এই মিশ্রণটি ব্রণ ব্রনের দাগ এবং ত্বকের ব্রণ প্রবন জায়গাই লাগান। ১৫ মিনিট রাখার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দিনে একবার অন্তত এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগান।
  • এক টেবিল চামচ মুলতানি মাটি কয়েকটি পুদিনা পাতা আধা টেবিল চামচ মধু আধা টেবিল চামচ টক দই এক সঙ্গে ব্লেন্ড করে নিই। এই প্যাকটি বিশ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে এক থেকে দুই দিন ব্যবহার করুন।

এভাবে যদি আমরা নিয়ম মেনে প্যাকগুলো ব্যবহার করি তাহলে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা  দ্বিগুণ বেড়ে যাবে।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পুদিনা পাতার ব্যবহার

পুদিনা গন্ধযুক্ত চুইংগাম এবং  ব্রেথ মিন্ট হলো এমন একটি টোটকা যা মানুষের নিঃশ্বাস এর দুর্গন্ধ প্রতিরোধ বা পরিত্রাণ করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে এই পণ্যগুলির বেশিরভাগই কয়েক ঘন্টার জন্য দুর্গন্ধ দূর করতে পারে। তারা শুধুমাত্র মুখের দুর্গন্ধ কে ঢেকে রাখে এবং প্রথমে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে বা অন্যান্য যৌগগুলিকে রাস করে না। 


অন্যদিকে পেপারমেন্ট চা পান করা এবং তাজা পাতা চিবানো উভয়ই মুখের দুর্গন্ধ কে এবং ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে কারন টেস্টটিউব গবেষণায় পুদিনা পাতায় জীবাণুরোধ করার মতো উপাদান রয়েছে। পুদিনা পাতার উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলো-
  • নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ নিরাময়ের ব্যবহৃত হয় পুদিনা পাতা।
  • মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও ঠান্ডা লক্ষণ গুলিকে উন্নত করতে পারে পুদিনা পাতা। 
  • বুকের দুধ খাওয়ানোর সাথে সম্পর্কিত স্তনের ব্যথা কমাতে ব্যবহৃত হয় পুদিনা পাতা।
  • আইবিএস এবং বদহজমের চিকিৎসায় সাহায্য করে পুদিনা পাতা। 

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে পুদিনা পাতার ব্যবহার

তৈলাক্ত ভাব কমাতে পুদিনা পাতার পেস্ট ও এক টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, আধা চামচ মধু ও আধা চামচ টক দই । এই তিনটি উপকরণ খুব ভালোভাবে মিশিয়ে আপনার তৈলাক্ত মুখে লাগিয়ে নিন 20 থেকে 30 মিনিট অপেক্ষা করুন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন ব্যবহার করলে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও মসৃণ। এবং তেলতেলে ভাবটা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। পুদিনা পাতার অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এন্ট্রি ফাংগাল বৈশিষ্ট্য ব্রনের ব্যথা ও ফোলা ভাব কমিয়ে দেবে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা সমাধানের জন্য গোলাপজলের সঙ্গে তাজা পুদিনা পাতা পেতে মুখে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর মুগ ধুয়ে নিন। এতে আপনার মুখের তেলতেলে ভাবের পাশাপাশি ব্রণ সুস্থির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।



চুলের যত্নে পুদিনা পাতার ব্যবহার 

পুদিনার শিকড় এর রস উপন্যাসকের জন্য খুব  কার্যকর । পুদিনা পাতার বার শিকড়ের রস চুলের গোড়ায় লাগিয়ে একটি পাতলা কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার এই কাজটি করলে আপনার চুল উকুন মুক্ত হবে।


শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ও সাহায্য করে পুদিনা। বিশেষত চুলের যত্নে অত্যন্ত কার্যকারী এই ভেষজ। কাল্পের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে ও চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে পুদিনা এছাড়াও চুল পড়া কমিয়ে স্কাল্পের জ্বালা-যন্ত্রনা দূর করেও সাহায্য করে এই পাতা। 

পুদিনা পাতার হেয়ার প্যাক তৈরির নিয়মঃপুদিনার হেয়ার প্যাক এর জন্য এক কাপ তাজা পুদিনা পাতা এক কাপ দই এক এক চামচ মধু এবং এক চা চামচ জলপাই তেল প্রয়োজন। পুদিনা পাতাগুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এতে দই মধু এবং জলপাই তেল যোগ করুন। সব উপাদান গুলো মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন এবার একটি মাথার ত্বকে লাগান আলতো করে মেসেজ করে নিন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পুদিনা পাতার শীতল প্রভাব। চুল পড়া কমাতে সহায়তা করে। আপনি চাইলে এই ব্যক্তির সাথে কয়েক ফোঁটা লেভেন্ডার এসেন্সিয়াল তেলেও যুক্ত করতে পারেন।


পুদিনা পাতার হেয়ার প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া কমে।শীতল রাখতে সহায়তা করতে পারে। কিনা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন দিয়ে উদ্দীপিত করে। এটি ব্যবহারে চুল স্বাস্থ্যকর ও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। পুদিনা চুলের গোড়াকে শক্তিশালী করে ।চুলের জন সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিন দিন তিনার হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন।



হজমের সহয়তাই পুদিনা পাতার উপকারিতা

এন্টি অক্সিডেন্ট মেহুল আর ফাইটোনিউট্রেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে পুদিনা পাতায় । এই উপাদানগুলো হজমের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম তৈরি করে । পুদিনা পাতার এসেন্সিয়াল অয়েল এ রয়েছে শক্তিশালী জীবানু নাশক  ক্ষমতা । পাশাপাশি তা পাকস্থলীকে শীতল করে অম্লীয় খাবার সামাল দিতে সাহায্য করে । ফলে পেটের গোলমাল কমে । পুদিনাপাতা এমন একটি উপাদান যা পেটের সমস্যা পেট ফাঁপা বা পেটের যেকোনো সমস্যা গ্যাস বা হজম সমস্যার প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদিক স্বাস্থ্যমতে পুদিনা পাতা সংক্রামক রোধ করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।


হাঁপানি কমাতে পুদিনা পাতার উপকারিতা 

নিয়মিত পুদিনা পাতা খাওয়ায় মানবদেহে কফ জমতে পারে না। এখানে মুখ্য ভূমিকা থাকে মেন্থল যা ফুসফুসে আটকে যাওয়া মিউকাস ছাড়াই। এছাড়াও নাকের ফুলে ওঠার মেমব্রেনকে সরিয়ে তোলে মেন্থল। ফলে শ্বাস নেয়ার কষ্ট দূর হয়। তবে অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয় কারণ শ্বাসনালীতে অসস্তি দেখা দিতে পারে। হাঁপানি রোগীদের জন্য প্রশান্তি দায়ক প্রভাব আনার সাথেও পুদিনা পাতার খাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। পুদিনা পাতা এন্ট্রি ইনফরমেটরি বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। এটি একটি ভালো শিথিল কারী। যাইহোক নিশ্চিত করুন যে আপনি আপনার পুদিনা অতিরিক্ত মাত্রায় করবেন না অন্যথায় এটি আপনার বায়ু পথে চালা করতে পারে। 



মাথা ব্যথাতে পুদিনা পাতার উপকারিতা

পুদিনা পাতায় খাতা মেন্থল পেশিকে শিথিল করার মাধ্যমে ব্যথা কমায় । এই পাতার নির্যাস থেকে তৈরি নানা মলম মাথাব্যথা কমতে সাহায্য করে । মলম ব্যবহার করতে না চাইলে সরাসরি পুদিনা পাতার রস কপালে মাখলেও মাথা ব্যথা কমে যায়। পুদিনা পাতা মাথা ব্যথায় খুব উপযোগী একটি ঘরোয়া পদ্ধতি । থেকে মুক্তি পেতে চাইলে অনেকেই চা পান করার পরামর্শ দেন। এক্ষেত্রে পুদিনার চা খাওয়া যেতে পারে। পুদিনার চা চিন্তা কমাতে এবং এর ফলে সৃষ্ট মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেনের সমস্যা অপশন করতে সক্ষম। 



মানসিক স্বস্তিতে পুদিনা পাতা উপকারিতা

সুগন্ধি ভিত্তিক চিকিৎসায় পুদিনা পাতা প্রথম সারির উপাদান ।এর করা সুগন্ধ মানসিক চাপ হতাশা দূর করে এবং শরীরকে সতেজ করে তোলে । রক্তে উপাদানটিসল হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে জৈবিক মানসিক চাপ সামাল দেওয়ায় সক্রিয়ভাবে কাজ করে । আবার পুদিনা পাতায় এসেন্সিয়াল অয়েল যে ঘ্রাণ তাৎক্ষণিক রক্তে সেরটনিন হরমোন নিঃসরণ করে । এই হরমোন মানবদেহের মানসিক অস্থিরতা ও হতাশা কমায় ।



স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পুদিনা পাতার উপকারিতা 

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পুদিনা পাতার ভূমিকা অনেক । পুদিনা পাতার নিয়মিত খেলে উপস্থিত বুদ্ধি বৃদ্ধি পায় । পুদিনা পাতা এমন একটি উপাদান যা মানসিক রোগীকে খাওয়ালে সে আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে । এজন্য পুদিনা পাতার উপকারিতা অনেক।গবেষকদের মতে পুদিনা পাতার গন্ধে গন্ধের বোনের অনেক রোগ সেরে যায়পুদিনা পাতার গন্ধে নাক থেকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত পৌঁছালে রক্তের চলাচল বাড়ে। আর সেই গুনেই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। এছাড়াও খাওয়া দাওয়ার অনিয়ম কম পানি পান করা ত্বকের সমস্যা সবকিছু থেকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র পুদিনা পাতা ও পুদিনা পাতার ভেষজ চা।


চিন্তা ও বিষন্নতা কমাতে পুদিনা পাতার ব্যবহার

চিন্তা ও বিষণ্ণতা কমাতে পুদিনা পাতার ব্যবহার অপরিহার্য। পুদিনা পাতার শক্তিশালী এবং সতেজ গন্ধ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং মনকে পুনর্জীবিত করতে সাহায্য করে। যিনি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কটিসলেরমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পুদিনা পাতার শ্বাস নিলে আপনার মন তাৎক্ষণিক শান্ত হবে। গবেষণা অনুসারে এটি মস্তিষ্কে স্বল্প পরিমাণে সেরটনিন মুক্ত করতে সাহায্য করে যা বিষণ্ণতাকে পরাজিত করতে সাহায্য করে।

পুদিনা পাতার রেসিপি

পুদিনা পাতা দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি বানানো হয় ।যেমন -পুদিনা পাতার জুস, পুদিনা পাতার চা, পুদিনা পাতার ভর্তা ইত্যাদি ।


পুদিনা পাতার জুস 

এক কাপ পুদিনা পাতা হাফ কাপ ঠান্ডা পানি হাফ চা চামচ বিট লবন এবং লেবুর রস দুই চামচ হাফ চামচ জিরা গুঁড়া ও টেবিল তিন টেবিল চামচ চিনি । এর সাথে দুই তিন টুকরা বরফ নিলে জুসের স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায় । এই কয়েকটি উপকরণ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে খুব সহজেই তৈরি করা যায় পুদিনা পাতার জুস। 


প্রস্তুতকরণ:

  • এক কাপ পুদিনা পাতা, হাফ চামচ বিট লবণ, একটি লেবুর রস, চার চামচ চিনি এক কাপ বরফ, সামান্য পরিমাণে জিরা গুঁড়ো , এই কয়েকটি উপকরণ ব্লেন্ডার এ ব্লেন্ড করে নিন যদি বাসায় ব্লেন্ডার না থাকে তবে পুদিনা পাতা ভালোভাবে পাটাই বেটে নেই । এরপরে উপকরণ গুলো ছাকনির সাহায্যে ছেঁকে নেই । 
  • ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে একটি কাপে বরফের টুকরো দিয়ে কাপের উপর ছাকনি দিয়ে ভালোভাবে ছেঁকে নেই । অবশ্যই ভালোভাবে  ছাকনি দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে এছাড়া পুদিনা পাতার ছোট টুকরো শরবতে থেকে যাবে ফলে শরবত দেখতে খারাপ দেখাবে ।
  • এবং পরিবেশনের জন্য একটি লেবুর গোল স্লাইস কেটে কাপে বা গ্লাসে আটকে দিলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে । 

পুদিনা পাতার চা

পুদিনা পাতার চা বানানোর জন্য ১০ থেকে ১২ টি পুদিনা পাতা এক কাপ পানি এবং একটু চা পাতা। এই তিনটি উপকরণ ভালোভাবে ফুটিয়ে ছাকনা দিয়ে ছেকে তৈরি হয়ে যাবে পুদিনা পাতার চা । 


 
পুদিনা পাতার চা বানানোর নিয়ম

  • প্রথমে একটি পাতিলে দুই কাপ পরিমাণে পরিষ্কার পানি নেই ।
  • এরপর কয়েকটি পুদিনা পাতা পানির মধ্যে দিয়ে দেই ।
  • এরপর পুদিনা পাতা এবং পানি খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে নেই যাতে পুদিনা পাতার নির্যাসটা খুব ভালোভাবে বের হয় ।
  • পুদিনা পাতা ও পানি এবং এর সাথে সামান্য পরিমাণে চা পাতা দেই । যাতে চায়ের রঙটা সুন্দর হয় ।
  • এরপর সামান্য পরিমাণে চিনি বা কেউ না চাইলে চীনের ব্যবহার না করতেও পারে ।
  • এগুলো খুব ভালোভাবে ফুটানো হয়ে গেলে ছাকনির সাহায্যে  ছেকে কাপে  পরিবেশন করলেই হয়ে যাবে পুদিনা পাতার চা ।
পুদিনা পাতার ভর্তা

কিছু পরিমাণে পুদিনা পাতা ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে কয়েকটি শুকনো মরিচ এক টেবিল চামচ সরিষার তেল এক কাপ পেঁয়াজ কুচি সাত থেকে আটটি  রসুন কুয়া ।  এই কয়টি উপাদান ভালোভাবে চোখকে মেখে নিলে তৈরি হয়ে যাবে পুদিনা পাতার ভর্তা ।




পুদিনা পাতার ভর্তা বানানোর নিয়ম :
  • একটি বাটিতে কিছু পরিমাণে পুদিনা পাতা ধুয়ে নেই ।
  • এরপর শুকনো মরিচ ভেজে নিন । 
  • এক টেবিল চামচ সরিষার তেল এক কাপ পেঁয়াজ কুচি কয়েকটি কোয়া রসুন কুচি করে নেই ।
  • এরপর এগুলো ভালোভাবে চটকে মেখে নি এবার পুদিনা পাতা মেখে পরিবেশন করলেই হয়ে যাবে পুদিনা পাতার ভর্তা ।

পুদিনা পাতার অপকারিতা

নেই কিন্তু অধিক মাত্রায় করলে যৌন জীবনের জন্য এটি মোটেও ভালো নয় । এটি শরীরের যৌন উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী হরমোন টেস্টোস্টেরন মাতা কমিয়ে দেয় । যা শরীরকে ঠান্ডা করে দেয়এবং যৌন আগ্রহ কমিয়ে দেয় । পুদিনা কিছু ঔষধের সাথে যোগ করতে পারেনএবং কিছু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ঔষধ ।বেশিরভাগ মানুষদের জন্য পুদিনার নিরাপদ তবে রক্তচাপ অস্থায়ীভাবে কমাতে পুদিনা পাতা সাহায্য করে ।
 

ছোট শিশুদের দেওয়া উচিত নয় কারণ এটি বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে বিষাক্ত হয়ে যায় এবং শিশুদের ত্বকে জ্বালার মত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে । পুদিনা থেকে এলার্জি হতে পারে ।খুব ঘন পুদিনার তেল সরাসরি ত্বকে লাগালে জ্বালা করতে পারে এবং লাল হয়ে যাবে বা রেস হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে ।



শেষ কথা

অনেক খাবারে যোগ করা সহজ, গবেষণায় পুদিনা পাতার উপকারিতা দেখানো হয়েছে যেখানে পুদিনা পাতা নানা ক্যাপসুলে নেওয়া, ত্বকের প্রয়োগ করা অ্যারোমা থেরাপীর মাধ্যমে শ্বাস নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। পুদিনা পাতার উপকারিতা সেই মস্তিষ্কের কার্যকারিতা হজমের লক্ষণগুলির উন্নত করা থেকে শুরু করে বুকের দুধ খাওয়ানোর ব্যথা ঠান্ডায় উপসর্গ এবং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ উপশম করতেও সাহায্য করে পুদিনা পাতা।

পুদিনা পাতা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা আমাদের বিভিন্ন কাজে লাগে । আমরা পুদিনা পাতার বিভিন্ন খাবার বানিয়ে খেতে পারি আবার এটি আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী আবার এই পুদিনা পাতার ঔষধ মানবদেহের জন্য খুবই উপযোগী । পুদিনা পাতার ঔষধি গুণ অনেক এর ফলে মানব দেহের বিভিন্ন রকমের সমস্যা দূর হয় । অতএব বলা যায় যে পুদিনা পাতা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান । পুদিনা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলাম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url