গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম খাওয়ার নিয়ম ও কাজুবাদামের উপকারিতা সম্পর্কে



 

গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম খাওয়ার নিয়ম ও কাজুবাদাম এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কাজু বাদামের পুষ্টিগুণ অপরিহার্য।




এটি সাধারণত গর্ভবতী মহিলার ডায়েট সংযোজন হতে পারে কারণ এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে গর্ভাবস্থায় সেবনের আশেপাশের নিয়ম ও বিবেচনা গুলি বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সূচিপত্র: গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম খাওয়ার নিয়ম ও কাজুবাদামের  উপকারিতা সম্পর্কে

  • গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম খাওয়ার পুষ্টিগুণ
  • গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম খাওয়ার উপকারিতা
  • কাজুবাদাম খাওয়ার নিয়ম 
  • সকালে খালি পেটে কাজুবাদাম খাওয়ার উপকারিতা
  • হাড়ের গঠন মজবুত করতে কাজুবাদামের উপকারিতা
  • দুধে কাজুবাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
  • কাজু বাদাম এর উপকারিতা
  • শেষ কথা

গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম খাওয়ার আগে নিয়ম মেনে খেতে হবে 

এলার্জি টেস্টঃ 
গর্ভবতী মা আপনার খাদ্য তালিকায় কাজুবাদাম রাখার আগে আপনি নিশ্চিত হন আপনার শরীরের কোন এলার্জি আছে কিনা। এলার্জির প্রতিক্রিয়া মা ও শিশুর উভয়ের জন্যই ঝুঁকি তৈরি করতে পারে আপনি যদি কোন খাদ্য অ্যালার্জি টেস্ট সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চান তাহলে একজন স্বাস্থ্য কর্মীর কাছে পরামর্শ নিতে পারেন। 

কাজু বাদাম খাওয়া শরীরের জন্য খুব উপকারী কিন্তু গর্ভবতী মায়ের জন্য একটু ঝুকিয়ে যদি তার কোন এলার্জি থেকে থাকে এজন্য গর্ভবতী মা নিজের শরীরের দিকে নজর রাখবে তার কোন এলার্জি আছে কিনা। যদি এলার্জি থেকে থাকে তাহলে কাজুবাদাম খেলে গর্ভবতী মা ও শিশু দুজনেরই শরীরের বিরূপ প্রভাব পড়বে ফলে মাতৃ মৃত্যু বা শিশু মৃত্যু হতে পারে। গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খেলে কিছু নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত।

কাজুবাদাম খাওয়ার সময় নিজের দিকে খেয়াল রাখতে হবে কারণ এটি অধিক ক্যালোরি যুক্ত একটি দানাদার খাবার যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মায়ের যদি ওজন বেড়ে যায় তাহলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতএব কাজু বাদাম খাওয়ার আগে নিশ্চয়ই গর্ভবতী মায়ের নিয়ম মেনে খেতে হবে।


কাঁচা কাজুবাদাম ও ভাজা কাজু বাদাম

গর্ভবতী মহিলাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ফলে কাঁচা কাজুবাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কাঁচা কাজু বাদামে এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ থাকে যা ও মাতৃ দেহের জন্য খুব ক্ষতিকর। এটি খেলে ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং এলার্জির লক্ষণ দেখা দিতে পারে অতএব কাঁচা কাজুবাদাম খাওয়ার আগে সতর্ক থাকুন।

কাঁচাকাজু বাদামে যে বিষাক্ত পদার্থ থাকে তা ভাজার পরে বিষাক্ত পদার্থটি মরে যাই। ফলে গর্ভবতী মায়ের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত একটি দানাদার খাবার হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। ভাজা কাজু বাদাম  নিরাপদ কারণ গরম করার ফলে পুরুষ শিউর নামে বিষাক্ত পদার্থটি নির্মূল হয়ে যায়।


কাজুবাদামের গুণমান এবং সংরক্ষণ স্থান  

কাজুবাদাম কেনার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন কাজুবাদাম সতেজ বা উচ্চমানের কিনা। বাদাম নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাতে বাদাম রাখার পাত্রটি খুব ভালো মানের হওয়া উচিত। না হলে বাদাম নষ্ট হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। বাদামটি পাত্রে রাখার আগে পাত্রটি ভালোভাবে পরিস্কার করে নিতে হবে। এবং বাদ াম রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।কাজুবাদাম একটি শীতল শুকনো জায়গায় বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করাই ভাল।


গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম খাওয়ার উপকারিতা

কাজুবাদামের পুষ্টিগুণঃ

কাজুবাদামের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে । কাজু বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন স্বাস্থ্যকর চর্বি ফাইবার ভিটামিন ইত্যাদি।যেমন ভিটামিন কে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি এবং খনিজ যেমন ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস তামা এবং দস্তা হিসেবে। এই কাজু বাদামের পুষ্টিগুণ গর্ভবতী মায়ের জন্য স্বাস্থ্যকর ও শিশুর বিকাশের সহায়ক ভূমিকা পালন করে। 


কাজুবাদাম খাওয়ার পুষ্টিকর উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • কাজুতে শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ভিটামিন থাকে এবং গর্ভাবস্থায় দুপুরের সময় কাটানোর জন্য আদর্শ স্নেক। 
  • কাজুবাদামের অ্যান্টিবায়োটিয়াল বৈশিষ্ট্য গুলো সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
  • গর্ব অবস্থায় অনেক  মহিলার পক্ষে একটি কঠিন সময় হতে পারে তবে কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করতে পারে। 
  • কাজুবাদামের থাকা উচ্চ ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
  • কাজুবাদাম ম্যাগনেসিয়াম এর উৎস। যা ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি হাড়ের স্বাস্থ্যের প্রচার করে এগুলো পেশির কোষ উচ্চ রক্তচাপ ক্লান্তি এবং মাইগ্রেন থেকে মুক্তি দেয়।
  • কাজুবাদামে ভিটামিন কে রয়েছে যা গর্ভবতী মহিলাদের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ যাতে না হয় তার জন্য গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিন কাজুবাদাম এর ভিটামিন কে এর প্রয়োজন হয়। 

গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কাজুবাদাম খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে -

  • কাজুবাদাম আপনার শিশুর বৃদ্ধির পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি সরবরাহ করে যার ফলে আপনার শিশুর বৃদ্ধি খুব দ্রুত হয়।
  • কাজুবাদাম গর্ভাবস্থায় মারি এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে।
  • আপনার গর্ভাবস্থায় ডায়েট কাজুবাদাম খেতে আপনার লিপিড প্রোফাইলের মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে বিশেষত যদি আপনি গর্ভকালীন ডায়াবেটিকসের ঝুঁকিতে থাকেন।

কাজুবাদাম খাওয়ার নিয়ম 


 বর্তমানে আমরা প্রায় সব খাবারে কাজুবাদাম ব্যবহার করে থাকি। যেমন: সালাদ, পায়েস, আচার, কেক ইত্যাদিতে কাজুবাদাম ব্যবহার করা হয়। তবে কাজু বাদাম খাওয়ার ক্ষেত্রে বয়স ও শারীরিক অবস্থা ভেদে কিছু নিয়ম  মেনে খেতে হয় -

গর্ভবতী মহিলার জন্য কাজুবাদাম খাওয়ার নিয়ম- 

প্রতিদিন ১০-৪০  গ্রাম গর্ভবতী মহিলার কাজুবাদাম খাওয়া উচিত। যদি এর বেশি খাওয়া হয়ে যায় তাহলে গর্ভবতী মায়ের শারীরে নানা সমস্যা দেখা দিবে।এর থেকে ভালো হয় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে না।কাজুবাদামমে অনেক ফ্যাট থাকে যার ফলে গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।

ছোট বাচ্চাদের জন্য কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম 

ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কাজুবাদাম খাওয়ানোর জন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এটি দানাদার এবং একটু বড় যার ফলে ছোট বাচ্চার গলায় আটকে যেতে পারে এজন্য কাজুবাদাম একটু ভেঙে নিয়ে ছোট বাচ্চাকে দিতে হবে। কাজুবাদাম এমনি খাওয়ানো যাবে না কোন খাবারের সাথে যোগ করে খাওয়াতে হবে। কারণ এটি ভারী জাতীয় খাবার যার ফলে বাচ্চাদের হজম করতে সমস্যা হবে। প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার দশ থেকে বৃষ্টি পড়ে কাজু বাদাম খাওয়ানো যেতে পারে। এই নিয়মে কাজুবাদাম খেলে উপকারিতা আছে।

ডায়াবেটিস রোগী এবং অন্যান্যদের জন্য কাজুবাদাম খাওয়ার নিয়ম 

বয়স্কদের কাজুবাদাম খাওয়ার নিয়ম প্রতিদিন প্রায় 40 থেকে 50 গ্রাম কাজুবাদাম খাওয়া উচিত। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম কাজুবাদাম খেতে পারবেন। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাজুবাদাম খাওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কাজুবাদাম খেতে হবে। কারণ কাজুবাদামে থাকা বিভিন্ন উপাদান যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতি হতে পারে এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস রোগীর যদি অন্য কোন সমস্যা হয়ে যায় যার ফলে জীবন সুখের মধ্যে পড়ে এজন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। 

সকালে খালি পেটে কাজুবাদাম খাওয়ার উপকারিতা

কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এন্টিঅক্সিডেন্ট খনিজ এবং ভিটামিন। শরীর গঠনে কাজু বাদামের ভূমিকা অনেক। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি করে কাজুবাদাম খেলে শরীরের খনিজ পদার্থ ও পুষ্টি ও উপাদানের ঘাটতি পূরণ হয়। এতে অধিক পরিমাণে ভিটামিনের কারণে ডাক্তাররা কাজুবাদাম কে অনেক সময় প্রাকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট বলে উল্লেখ করেন। খালি পেটে কাজল বাদাম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে নিচে তা উল্লেখ করা হলো-
  • খালি পেটে কাজু বাদাম খেলে ওজন কমে যায়।
  • কাজুবাদাম হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে।
  • স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করতে কাজু বাদামের ভূমিকা অনেক।
  • ক্ষুধা নিবারনের জন্য কাজু বাদামের ভূমিকা অনেক কারণ কাজুবাদাম একটি ভারী খাবার।
  • ক্ষুধা লাগলে তিন থেকে চারটি কাজুবাদাম খেলে  পেট ভরে যায় কারণ কাজুবাদাম ভারি খাবার।
  • শরীরে শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কাজুবাদাম।
  • গর্ভবতী মায়ের শরীরে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।
  • মেধা শক্তি বৃদ্ধি করতে কাজুবাদামের ভূমিকা অপরিসীম।

ডাক্তাররা সব সময় শিশু এবং বৃদ্ধকে কাজুবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন কারণ কাজী ময়দানে থাকা ম্যাগনেসিয়াম স্মৃতিশক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে কাজুবাদাম মস্তিষ্কের টিস্যুর শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যার ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। কাজুবাদাম কে ব্রেনের পাওয়ার বুস্টারও বলা হয়। কাজুবাদাম প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টা খাওয়া উচিত।

হাড়ের গঠন মজবুত করতে কাজুবাদামের উপকারিতা

হাড়ের গঠন মজবুত করতে কাজুবাদামের উপকারিতা অনেক কাজুবাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়া, পটাশিয়াম থাকার কারণে হাড়ের বিকাশ ও বল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। হাড়ের গঠন মজবুত করতে কাজুবাদাম খুব উপকারী। কাজুবাদামের থাকা ফসফরাস মিনারেল ও ভিটামিন হার ও দাঁত কে সুরক্ষা দেয়। 

ফসফরাস কেবল হাড় ও দাঁতকে মজুদ করে না বরং এটি এস টি ও পরেসিস বা হাড়ের ক্ষয় রোধ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। হার ও দাঁতের সুরক্ষা ও স্থায়িত্বের ওপর ফসফরাসের প্রভাব রয়েছে অনেক । এছাড়াও কাজু বাদামে রয়েছে ভিটামিন কে ভিটামিন বি এবং থায়ামিন সমৃদ্ধ যা শরীরে নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যদি অধিক পুষ্টি পেতে চায় তাহলে দুধের সাথে কাজুবাদাম ভিজিয়ে খেলে হার ও পেশির বিকাশ ঘটে।

দুধে কাজুবাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

দুধে কাজুবাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার অধিক উপকারিতা রয়েছে তাই এই সম্পর্কে আমাদের সবার ধারণা রাখা উচিত।। এক গ্লাস দুধে কাজুবাদাম ভিজিয়ে খেলে অনেক উপকার রয়েছে। দুধে ভেজানো কাজ বাদাম খেলে হার শক্তিশালী হয়। দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে আর কাজু বাদামে রয়েছে ভিটামিন কে ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন বি৬ মতো ম্যাঙ্গানিজ এর মতো পুষ্টি উপাদান। এইসব ভিটামিন এবং খনিজ গুলো হাড়কে শক্তি শালী করে এবং জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।

 তাই হারের ব্যথা কমাতে বয়স্ক ব্যক্তিরা অবশ্যই রোজ দুধে কাজুবাদাম ভিজিয়ে খান। দুধে সারারাত কাজুবাদাম ভিজিয়ে রাখুন পরদিন সেই দুধ পান করেন। প্রতিদিন দুধে কাজুবাদাম ভিজিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অত্যাধিক পরিমাণে কাজুবাদাম খাবেন না কারণ কাজুবাদাম শরীর গরম করে আর দুধ ও কাজু বাদামে ক্যালরি এবং হেলদি ফ্যাট থাকে যা আপনার ওজন বাড়াতে পারে তাই কম পরিমাণে কাজুবাদাম খাওয়া উচিত।

কাজু বাদাম এর উপকারিতা

প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খনিজ এবং ভিটামিন রয়েছে কাজুবাদামে। নিচে উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
  • টিউমার প্রতিরোধে কাজু বাদামের ভূমিকা অপরিসীম। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
  • কাজু বাদামের ম্যাগনেসিয়াম ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ কারণে ব্লাড প্রেসার আক্রান্ত রোগীরা খাদ্য তালিকায় কাজুবাদাম রাখতে পারেন।
  • সুস্থ হার্টের জন্য কাজুবাদামের উপকারিতা অনেক।
  • কাজুবাদামে এক ধরনের মন আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যার নাম ওলিসিক। অলিসিক শরীরের খারাপ কোলেস্টরাল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  • কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে কপারের উপস্থিতি রয়েছে কপার চুলের গোড়াকে শক্ত করার পাশাপাশি চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 
  • কপার শরীরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ এনজাইমের পরিমাণ বৃদ্ধি করে চুলের রংকে আরো গারো করে এবং স্থায়িত্ব প্রদান করে এবং চুলের গোড়কের শক্ত করতে সাহায্য করে। 
  • কাজু বাদামের ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক। তাই যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়ে যায় তারা খাদ্য তালিকায় কাজুবাদাম যুক্ত করতে পারে।
  • কাজুবাদাম শরীরের ক্ষয় পূরণ ও বৃদ্ধিসাধন করতে সাহায্য করে এবং হাড়কে শক্ত করতে সাহায্য করে।
  • এছাড়াও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কাজু বাদামের ভূমিকা অপরিসীম। চিকিৎসকরা কাজুবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য।

শেষ কথা

কাজু বাদামে অনেক উপকারিতা আছে কিন্তু অতিরিক্ত কিছুই ভালো না। সবকিছু একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখা উচিত । কাজুবাদামে অনেক পুষ্টিগুণ থাকলেও অতিরিক্ত গ্রহণ করলে শরীরের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। কাজুবাদাম ফাইবার জাতীয় খাদ্য যার ফলে বেশি বেশি খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে অনেকে আবার বাদামে অ্যালার্জি থাকে তাদের ক্ষেত্রে বাদাম এড়িয়ে চলায় ভালো 

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। কাজুবাদাম সম্পর্কে জানতে চাইলে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। যদি আপনাদের এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। কাজুবাদাম সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী অযথা তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url