অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে

অ্যালোভেরার বাংলা ঘৃতকুমারী । অ্যালোভেরা ক্যাকটাস জাতীয় একটি উদ্ভিদ।এটি ক্যাকটাস জাতীয় হলেও এটি ক্যাকটাস নয়। আফ্রিকার মরুভূমি অঞ্চলে । অ্যালোভেরা আজ থেকে ছয় হাজার বছর আগে মিশরেউৎপত্তি লাভ করে ।



 চুল ও ত্বকের পরিচর্যার ক্ষেত্রে উপকারী এ উদ্ভিদ । অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী একটি ঔষধি গুন সম্পূর্ণ গাছ । অ্যালোভেরার শরবত মানব দেহের জন্য খুব উপকারি ।


পোস্ট সূচীপত্রঃ


অ্যালোভেরার উপকারিতা 

  • অ্যালোভেরাতে বিভিন্ন চর্মরোগ ও ক্ষত সারাই । 
  • দেহের ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করলে তা অপসারণ করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা ।
  • অ্যালোভেরাতে থাকা ল্যাকটেটিভ উপাদান পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ।
  • অ্যালোভেরা জুস ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে এবং দেহকে সতেজ রাখে ।
  • অ্যালোভেরার ঔষধি গুন রক্তচাপ কমায় এবং রক্তের কোলেস্টরেল ও সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় রাখে।
  • এলোভেরাতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে ।
  • অ্যালোভেরার আঠালো রস খাদ্যনালী ও পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে ।
  • অ্যালোভেরার উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও সক্রিয় করে এবং দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে । সাদা ব্লাড সেল গঠন করে যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে ।
  • অ্যালোভেরার জুস শরীরে অতিরিক্ত জমে থাকা মেয়েদেরকে কমাতে সাহায্য করে এটি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া ওজন কমাতে সাহায্য করে ।
  • এলোভেরার হৃদ যন্ত্রের সমস্যা দূর করে । 

অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ

অ্যালোভেরা নানা ভিটামিন ও খনিজের উৎস । প্রায় ২০ ধরনের খনিজ উপাদান রয়েছে অ্যালোভেরাতে । ক্যালসিয়াম জিংক ম্যাগনেসিয়াম ক্রোমিয়াম সোডিয়াম আয়রন পটাশিয়াম কপার ও ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি ভালো পরিমাণে রয়েছে  । শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক সব অ্যামাইনো এসিড সহ ১৮ থেকে ২০ ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে । এছাড়াও ফলিক এসিড কলিন এসিড পরিমাণে এন্ট্রি অক্সিডেন্ট রয়েছে ।



চুল ও ত্বকের যত্নেও উপকারী অ্যালোভেরা

  • ত্বকের rash চুলকানি রোদে পরা দাগ দূর করে এলোভেরা জেল । এই জেল তকে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ থাকে এবং বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না । 
  • চুলের শুষ্ক ভাব এবং ত্বকের চুলকানি দূর করার জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন । এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল উপাদান চুল পড়া ও খুশকি দূর করে ।


অ্যালোভেরা কিভাবে খাবেন

অনেকেই জানেন না অ্যালোভেরা কিভাবে খেতে হয় । বেশিরভাগ মানুষই এলোভেরা জুস খায় প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস এলোভেরা জুস পান করলে অনেক রোগ প্রতিরোধ করা যায় । এলোভেরা কিউব করে কেটে সালাদ বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে । এছাড়া শরবতে মিশিয়ে নিলে খেতে পারেন এই কিউব । 



অ্যালোভেরার অপকারিতা

চিকিৎসকদের মতে এলোভেরা নিরাপদ যখন এটি ওষুধ বা জেল হিসেবে ব্যবহার হয় । কিন্তু যখন প্রাকৃতিক উপায়ে এলোভেরার ভেতরের রসালো অংশ বের করা হয় তখন অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে এললেটেড বের হতে পারে, যা শরীরের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। এই পদার্থটি এলোভেরার পাতার মধ্যে থাকে এবং এর রং হলদে । এই হলদে রসটা খেলে শরীরে অনেক ক্ষতি হয় ।

এই হলদে রসটার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে । এর ফলে ডায়রিয়া কিডনির সমস্যা পেশী দুর্বলতা কম পটাশিয়াম ওজন রাশ এবং হৃদয় ব্যাঘাত প্লেন ল্যাকটেক্সে উচ্চমাত্রা এমনকি কিডনির সমস্যা ও হতে পারে । এই হলদে রসটা ব্যবহারের ফলে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যেতে পারে এই হলদে রসটা কোন ভাবে বাচ্চা খেয়ে ফেললে বাচ্চার পেট ব্যথা বা ডায়রিয়া হতে পারে । 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url